মোহাম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া:- গত ২৩ শে এপ্রিল রাতে ইন্দাসে জনৈক এক ব্যক্তির টোটো চুরি হয়ে যায়। অসহায় টোটো মালিক ২৪শে এপ্রিল অভিযোগ দায়ের করে ইন্দাস থানায়। লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়ে তদন্ত নামে পুলিশ, মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন তথ্যসূত্র, গোপন সূত্র এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ জানতে পারে চোরের মূল পান্ডার নাম ও ঠিকানা। ওইদিনই রাতের বেলায় ইন্দাস ব্লকের সাহসপুর থেকে হুগলির বাসিন্দার শেখ হাসান আলিকে গ্রেফতার করে। পরের দিন অর্থাৎ ২৫ শে এপ্রিল তোলা হয় অভিযুক্তকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে, পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় তদন্ত প্রক্রিয়া আরো সক্রিয় করার জন্য। তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ জানতে পারে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় নিমাই সাঁতরা নামের এক ব্যক্তির একটি গ্যারেজে চুরি যাওয়ার সমস্ত টোটো গুলি রয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল ইন্দাস থানা পুলিশ হানা দেয় কালনায় নিমাই সাঁতরার গ্যারেজে। গ্রেফতার করা হয় নিমাই সাঁতরাকে। তার গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি চুরি যাওয়া টোটো। এরপর অভিযুক্ত নিমাই সাতরাকে গ্রেপ্তার করে ২৮ এপ্রিল তোলা হয় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। মহামান্য আদালত অভিযুক্ত নিমাই সাঁতরাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। নিমাই সাঁতরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ জানতে পারে ইন্দাস থানার রোল গ্রামের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে রাখা রয়েছে, আরো একটি টোটো। ৩০শে এপ্রিল পুলিশ নিমাই সাঁতরাকে সাথে নিয়ে রোল গ্রামের ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া আরো একটি টোটো উদ্ধার করে পুলিশ। আজ অভিযুক্ত দুই চোরকে রিমান্ড শেষে পুনরায় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অর্থাৎ ইন্দাস থানা এলাকায় টোটো চুরির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দুই চোরকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি চুরি যাওয়া টোটো। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস জানান এই ঘটনায় আরো এক ব্যক্তি জড়িয়ে রয়েছে তার খোজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।