মোহাম্মদ শাহজাহান আনসারী,বাঁকুড়াঃ বিজেপি পরিচালিত ছাতনার তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী ও উপ প্রধানকে ‘হুমকি’ দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা ও ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র ও জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বরুপা ওরফে মৌ সেনগুপ্ত। শনিবার তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর মোড়ে দলের এক কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখছিলেন তাঁরা।ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র ওই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আপনারা বলেছিলেন, কিন্তু কোন উন্নয়ন করতে পারছেননা। লজ্জা করেনা সংঘের মহিলাদের সঙ্গে আপনারা দূর্ব্যবহার করছেন। উপপ্রধান ও প্রধানের স্বামীকে বলে যাচ্ছি আগামী দিনে এই মহিলাদের উপর দূর্ব্যবহার করলে আপনাদের ছেড়ে কথা বলবোনা। আমরা কেউ চুড়ি পরে বসে নেই। সমান সমান হয়ে টসে জিতে বিশাল হনু হয়ে গেছেন নাকি বলেও তিনি হুঁশিয়ারী দেন।জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বরুপা ওরফে মৌ সেনগুপ্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের ‘লেজ কাটা’ হনুমান বলে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এবার চোখ রাঙ্গাতে এলে মায়েরা আপনাদের গাছে বেঁধে আটকে রেখে দেখিয়ে দেবেন কিভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের আগলে রেখেছেন’।
পরে ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র নিজের বক্তব্যের সমর্থণে বলেন, তেঘরি অঞ্চলে ২১০ টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে, তার প্রধান হচ্ছে সংঘ। ওই সংঘের মহিলাদের সঙ্গে আগেও ওঁরা খারাপ ব্যবহার করেছেন, আবারও প্রধানের স্বামী ও উপপ্রধান একই কাজ করেছেন। এসব করলে ছেড়ে কথা বলবোনা। প্রয়োজনে পঞ্চায়েতের ভীতরে গিয়েও আন্দোলন হবে বলে তিনি জানান।পাখি বালা রায় নামে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাও একই দাবি করেন। প্রধানের স্বামী তাঁদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেছেন বলে জানান।এবিষয়ে তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান স্বপন কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা কোন দূর্ব্যবহার করিনি। বরং ‘চুড়ি পরার কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী সহ সমস্ত মহিলাকেই তৃণমূল নেতা নেত্রীরা অপমাণ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।