জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর: কালীপুজো ও ভাইফোঁটা সবে মাত্র শেষ হলো, এরপর চলতি মাসের আগামী রবিবার তথা ১৯শে নভেম্বর ছট পুজো। আর সেই কারণেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন নদী-ঘাট গুলিতে চলছে ছট পুজোর প্রস্তুতি। মূলত, হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের এই ছট পুজো তবে এখন এই ছট পুজো শুধুমাত্র হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বাঙালিরাও এই ছট পুজোতে মেতে ওঠেন ও পুজো করেন। আর এবার সেই ছট পুজোকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট, মহকুমা গঙ্গারামপুর সহ বুনিয়াদপুরের নদী ঘাত গুলিতে পৌরসভার তরফে চলছে নদীঘাট সংস্কার ও ছট পুজোর প্রস্তুতি। গঙ্গারামপুর শহরের বড়বাজার নদীঘাট আশ্রম নদীঘাট ও নিউ মার্কেট নদীঘাটের বিভিন্ন ছট পূজা কমিটি গুলোর তরফে ছট পুজোর ঘাট গুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বাঁশের প্যান্ডেল ওআলোকসজ্জা দিয়ে ছট পুজোর ঘাট গুলিতে ইতিমধ্যে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। গঙ্গারামপুর বালুরঘাট ও বুনিয়াদপুর পৌরসভার তরফে নদী ঘাটে ছট পুজোর দিন কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসন মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি ছট পুজোর দিন নদীতে যাতে কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও নদীগুলিতে ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট ও লাইট বোর্ড জ্যাকেট সহ নৌকা থাকবে। ছট পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে ও গঙ্গারামপুর পৌরসভার তথা পৌরপিতা প্রশান্ত মিত্রের উদ্যোগে গঙ্গারামপুর পূর্ণভবা নদী ঘাটগুলির সংস্কারের কাজ চলছে জোর কদমে। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌরপিতা প্রশান্ত মিত্র বলেন, ” প্রত্যেক বছরের মত এবছরও গঙ্গারামপুর পৌরসভার উদ্যোগে গঙ্গারামপুর পূর্ণভবা নদীর বিভিন্ন ছট পুজোর ঘাট গুলিতে জোর কদমে সংস্কারের কাজ চলছে পাশাপাশি তেমনি বিভিন্ন ছট পুজো কমিটি বাঁশের প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ছট পুজোর দিন নদীর ঘাট গুলিতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের নজরদারি থাকবে। নদীতে কোনরকম দুর্ঘটনা এড়াতে গঙ্গারামপুর পৌরসভার উদ্যোগে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও থাকবে। ছট পুজো মূলত হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের হলেও তা এখন হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বাঙালিরাও ছট পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন ও পুজো করেন”। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন নদী ঘাটগুলিতে ছট পুজোর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।