মহম্মদ শাজাহান আনসারী, বাকুড়াঃ পুজো শেষ। রাত পেরোলেই জেলায় জেলায় কার্নিভ্যাল। বাঁকুড়ায় শুরু হয়েছে কার্নিভ্যালের প্রস্তুতি। কিন্তু সেই প্রস্তুতির মাঝেই এবার শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর। কার্নিভ্যালে বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদরা আমন্ত্রণ না পাওয়ায় কড়া সমালোচনা করা হয়েছে বিজেপির তরফে । অন্যদিকে এই বিষয়ে পাল্টা বিজেপিকেই কটাক্ষ করেছে তৃনমূল।
রাত পেরোলেই রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলায় আয়োজন করা হয়েছে কার্নিভ্যালের। প্রশাসন সূত্রের খবর ২০ টিরও বেশি দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও কার্নিভ্যালে অংশ নেবে একাধিক সরকারী প্রকল্পের ট্যাবলো। এই মূহুর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে সেই কার্নিভ্যালের প্রস্তুতি। বাঁকুড়ার বাইপাস রাস্তার পলাশতলা মোড় থেক্র সতীঘাটের আগে পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। কার্নিভ্যালের মূল মঞ্চ করা হয়েছে তৃনমূল ভবনের ঠিক উল্টো দিকে । সেখানে অতিথি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বসার ব্যবস্থা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। যে রাস্তার উপর দিয়ে একের পর এক প্রতিমা প্রদর্শিত হবে সেই রাস্তা জুড়ে আঁকা হচ্ছে আলপনা। রাস্তা জুড়ে লাগানো হচ্ছে মাইক, আলোর রকমারি গেট ও সিসি ক্যামেরা। এইসব প্রস্তুতির মাঝেই রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরী হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ডাক না পাওয়ায়। অভিযোগ শাসক দলের বিধায়কদের রীতিমত চিঠি দিয়ে এই কার্নিভ্যালে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেই চিঠি পাঠানো হয়নি বিজেপি বিধায়ক ও জেলার দুই বিজেপি সাংসদকে। কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দাবী এই কার্নিভ্যাল মানুষের নয়। এটা আসলে তৃনমূলের কার্নিভ্যাল হচ্ছে। বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের না ডাকায় আসলে অর্ধেকের বেশি মানুষকে এই কার্নিভ্যালের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। তৃনমূলের পাল্টা দাবী মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভ্যালের দিন ঘোষণা করার পাশাপাশি সকলকেই কার্নিভ্যালে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফাঁকা জায়গায় কার্নিভ্যাল হচ্ছে। তাই চাইলে ঢাক বাজাতে বাজাতে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা এই কার্নিভ্যালে আসতেই পারেন।