মোহাম্মদ শাজাহান আনসারী,বাঁকুড়া: মল্লগর বিষ্ণুপুর তার নিজের ঐতিহ্যে আজও বিরাজমান।মল্লরাজাদের ফেলে যাওয়া ঐতিহ্য টানে পশ্চিমবাংলা সহ ভারতবর্ষের পর্যটকদের। মল্লরাজাদের বিষ্ণুপুর তার ঐতিহ্য ভরপুর হলেও একটা সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল ।শহরের যানজট। এমনিতেই রাস্তাঘাটের সংকীর্ণ অবস্থার জেরে নাজেহাল হয় বিষ্ণুপুরের সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে আগত পর্যটকরা।তার ওপর গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল যত্রতত্র অবৈধ নির্মাণ। এবার সেই অবৈধ নির্মাণ কে ভেঙে ফেলতে ময়দানে নামলো বিষ্ণুপুর পৌরসভা।
পৌরসভা সূত্রে খবর কয়েকদিন আগে থেকেই সমস্ত মানুষ অবৈধ নির্মাণ করে বসেছিল তাদের পৌরসভার তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য। তাতেও কর্ণপাত করেননি তারা, শেষ মেষ নোটিশ জারি করা হলেও কোনো ফল মেলেনি। অবশেষে পৌরআইন মোতাবেক অবৈধ নির্মাণ ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করলো বিষ্ণুপুর পৌরসভা। আজ সকাল থেকেই পুলিশের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে সেইসব অবৈধ নির্মাণকে সাফ করার কাজ শুরু করা হয়েছে।বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে জেলা হাসপাতালের সামনে কর্মকাণ্ড দেখা গেল।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান,’বিষ্ণুপুর শহরের সংকীর্ণতম রাস্তা অনেক মানুষের সমস্যা সৃষ্টি করেছিল, এছাড়া বিষ্ণুপুরে আগত পর্যটকদেরও সমস্যারও সৃষ্টি হচ্ছিল।এই অবৈধ নির্মাণের জেরে অনেক সাধারন মানুষকে যানজটের বেগও পোহাতে হচ্ছিল, আমরা পৌরসভার তরফ থেকে সেই সব বেআইনি নির্মাতাদের অনেকবার অনুরোধ করা এবং নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও কোন কাজ হয়নি।তাই পৌরআইন মোতাবেক তাদের এই কাজ করতে হলো। তিনি এও জানান ভবিষ্যতে যদি কোন এই ধরনের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া যায়, সেটিকে খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
এখন শুধু দেখার বিষয় এটাই পৌরসভার এই সাফাই অভিযানে কতটা স্বস্তি পায় লাল মাটির জেলা বাঁকুড়া সাংস্কৃতিক শহর বিষ্ণুপুর।