অভিজিৎ হাজরা, উলুবেড়িয়া, হাওড়া : নীম্ন গাঙ্গেয় অববাহিকায় হাওড়া জেলার অবস্থান। নদীর নিম্ন ভূমি রূপে নানা Rich Water body সৃষ্টি হয়েছে , সেই ভূমি রূপের আঞ্চলিক ভাষায় নাম ” হাওড় ” থেকে সৃষ্টি হয়েছে আমার গর্বের জেলা হাওড়া।সভ্যতার বিকাশ কোন নদী ,হ্রদ, জল কে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে।কিন্তু আমাদের জেলার বিকাশ এই ” হাওড় ” কে কেন্দ্র করে।
” হাওড়” – র আশে পাশে গড়ে উঠেছে জীব বৈচিত্র্যের বিকাশ । আর তা আহরণ করতে মানুষের বসতি ,জন বিন্যাস, জীবনী -জীবিকা, উন্নত সংস্কৃতি, সুখী জীবন, সুখী পরিবার। একটা সুন্দর উন্নত সমৃদ্ধ সমাজ। কিন্তু কালের নিয়মে হারিয়ে যাচ্ছে ” হাওড় “এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে জন বিন্যাস, রোজ চলে যাচ্ছে
” হাওড় ” কে ঘিরে জীবিকার সুযোগ। সুখী পরিবার হয়ে যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিক। আরো কতো কী সুস্থ জীবনে রোজ থাবা বসাচ্ছে মারন ব্যাধি।এই সব কিছু থেকে আলোর উৎস সন্ধানে হয়ে গেলো জেলার খুব প্রয়োজনীয় আলোচনা।হারিয়ে যাচ্ছে ” হাওড় “হেরে যাচ্ছে হাওড়া।গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমায়
” উলুবেড়িয়া ইনস্টিটিউট এন্ড লাইব্রেরি ” উদ্যোগে “হারিয়ে যাচ্ছে ‘ হাওড় ‘হেরে যাচ্ছে হাওড়া”শীর্ষক আলোচনা শিবির অনুষ্ঠিত হল।এই অনুষ্ঠানের ভাবনা ও পরিকল্পনা যাঁর তিনি হলেন পরিবেশকর্মী শুভ্রদ্বীপ ঘোষ।উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করলেন সংগীতশিল্পী সঙ্গীতা গিরি।আজকে সভায় পৌরহিত করলেন ডাঃ অনুরাধা ঘোষ।অনুষ্ঠানের তিন বক্তাতপন সাহা (অবসরপ্রাপ্ত, বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী)ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী (বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী, লেখিকা)তিয়াসা আঢ্য (বিশিষ্ট পরিবেশবিদ্যার গবেষক)। তিন বক্তাই স্লাইড শো এর মাধ্যমে উপস্থিত দর্থকদের
প্রাণবন্তভাবে বোঝালেন ও সচেতন করলেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বেও যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেন।
একথা বলাই যায় উপস্থিত প্রত্যেক দর্শক একটা আলাদা উন্মাদনায় এসেছিলেন তাঁরা পরিপূর্ণতা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। অনুষ্ঠানটিকে সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করলেন উলুবেড়িয়া ইনস্টিটিউট এন্ড লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ দাস মহাশয় ও পরিবেশ কর্মী শুভ্রদীপ ঘোষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শোক জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালীন ছবি আঁকতে থাকলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী রণজিৎ রাউত । অবশেষে তিনি ফুটিয়ে তুললেন জীব বৈচিত্রের জলাভূমির গুরুত্বপূর্ণ একটি ছবি।অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে দুজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হলরাজদূত সামন্ত (প্রাথমিক শিক্ষক) ও প্রিয়জিৎ খান (পরিবেশ সচেতনতার বার্তাবাহক) মহোদয়দের।এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত স্বনামধন্য মানুষ।অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি ডাক্তার অনুরাধা ঘোষ।