সুদূর বার্মিংহ্যামে দেশের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন বছর কুড়ির দাপুটে ছেলে অচিন্ত্য শিউলি।মাত্র ১১ বছর বয়সে পিতৃহারা হয়েছিলেন অচিন্ত্য। তারপরে সংসারের জোয়াল নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। হাওড়ার পাঁচলায় মা এবং দাদার সঙ্গে জরির কাজে লেগে পড়েন। কিন্তু তীব্র অভাবও খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে দিতে পারেনি।
২০১৪ সালে ন্যাশনাল গেমসে তৃতীয় হন অচিন্ত্য। তারপরেই সেনার স্পোর্টস ইন্সটিটিউটে ট্রেনিং শুরু করেন তিনি। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক টুর্নামেন্টে লাগাতার পদক জিততে থাকেন তিনি। ২০১৫ সালে ভারতে যুব কমনওয়েলথ গেমসে রুপো জেতেন। ২০১৭ সালে তাসখন্দে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো, ২০১৯ সালে জুনিয়র বিভাগে সোনা জেতার পরে ২০২১ সালে তাসখন্দে ওয়ার্ল্ড জুনিয়র প্রতিযোগিতায় রুপো এবং জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগে জোড়া সোনা জেতেন অচিন্ত্য।
কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতার লড়াইটা খুব সহজ ছিল না, সেই কথা জানিয়েছেন অচিন্ত্যর মা। ছেলের এমন খুশির দিনে তাঁর মনে পড়েছে সেই দিনগুলোর কথা, যখন ছেঁড়া জামা পরে ট্রেনিংয়ে যেতে হত। সকলের কটু কথা শুনেও ছেলে দমে যায়নি, এমনটাই জানিয়েছেন গরবিনী মা। অচিন্ত্যের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সকলেই। আরও বহুদূর এগিয়ে যাবেন অচিন্ত্য, আরও অনেককে অনুপ্রেরণা দেবে তাঁর এই অদম্য লড়াইয়ের কাহিনি।