অর্পিতা সিনহা, বাঁকুড়া( ২৫নভেম্বর): আজ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা বিজ্ঞানের হাত ধরে উন্নতির শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছে গেছি। কিন্তু এই অভাবনীয় বৈজ্ঞানিক উন্নতির পাশাপাশি অজস্র কুসংস্কার আজও বহু মানুষের মনের কোণে দানা বেঁধে রয়েছে। এমনকি এই সমাজে অনেক সময় একই ব্যক্তির মধ্যেও বিজ্ঞান ও কুসংস্কারের সহাবস্থানের প্রাবল্য দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। অন্ধবিশ্বাস, ভ্রান্ত ধারণা ও অপ্রচলিত লোকাচারের বশবর্তী হয়ে বহু মানুষ এমন অনেক আচরণ করেন যা একবারে ভিত্তি হীন। যেমন শুভ কাজে যাওয়ার আগে হাঁচি বা টিকটিকির ডাক শুনলে অনেকে যাত্রাকে অশুভ বলে মনে করে থাকেন।
পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে জীবনে একবারও হাঁচেনি।বিভিন্ন রকম হাঁচির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত, আর তা আমাদের জীবনের সাথে নানাভাবে জড়িত। এই হাঁচি নিয়ে নানা কুসংস্কার প্রচলিত আছে।বলা হয় যে যাত্রাকালে হাঁচি অত্যন্ত অশুভ।হাঁচি আসার মূল কারণ হলো আমাদের নাকের ভিতরে সুড়সুড়ি অনুভূতি হওয়া।নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেবার সময় যদি কোন দূষিত পদার্থের কণা নাকে ঢুকে পড়ে তখন সিলিয়া নামে এক ক্ষুদ্র অঙ্গ মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছে দেয়।মস্তিষ্ক তখন নাকের সাইনাসের পেশীগুলোকে নির্দেশ দেয় এই দূষিত পদার্থগুলো জোর করে বের করে এগুলো পরিষ্কার করতে। মূলত অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী ধূলিকণা নাকে প্রবেশ করলে বা সর্দি জাতীয় কোন ভাইরাস দ্বারা শরীর আক্রান্ত হলে হাঁচি হয়।
প্রাচীন সংস্কৃতিতে এই বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে,হাঁচি মানুষের দেহ থেকে দুষ্ট আত্মা বের করে দেয় এবং এই দুষ্ট আত্মা এক ব্যক্তির শরীর থেকে তার আশেপাশে থাকা অন্য ব্যক্তির শরীরে হাঁচির মাধ্যমে প্রবেশ করে।তাই হাঁচি দিলে বলা হয় “ঈশ্বর মঙ্গল করুন” বা “গড ব্লেস ইউ “।তবে এই নিয়েও উপকথা প্রচলিত আছে। ইউরোপে যখন প্লেগ মহামারী আকার ধারণ করেছিল এবং লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছিল তখন পোপ সপ্তম গ্রেগরি প্রতি হাঁচির পর “ঈশ্বর মঙ্গল করুক” এই আশীর্বাদ সূচক কথাটি প্রচলন করেন।এর পেছনে কারণ হলো প্লেগ রোগের অন্যতম লক্ষণ গুলোর মধ্যে ছিল হাঁচি বা কাশি।এই কথা বললে হয়তো রোগী মারা নাও যেতে পারে এরকম ধারণা প্রচলিত ছিল।
বাইরে বা কোন শুভ কাজে বেরোনোর সময় হাঁচলে বলা হয় যে কাজটি হয়তো অসম্পূর্ণ থাকবে বা অশুভ হবে।হাঁচিকে উপেক্ষা করে বাইরে বেরালে হয়তো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে,তাই বলা হয় একটু বসে যেতে কিন্তু এটা একটা কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়।হাঁচি দিলে মনে করা হয় হৃৎপিণ্ডের কম্পনের মাত্রার তারতম্য হয় তাই কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে যেতে বলা হয়।আবার
শুধু মানুষ নয় জীবজন্তুর হাঁচিকে নিয়েও নানান কুসংস্কার প্রচলিত আছে। বাইরে বেরিয়ে যদি গরুর হাঁচির শব্দ শোনা যায় তাহলে মনে করা হয় যে কাজে বেরিয়েছে সেই কাজ সুসম্পন্ন হবে।কিন্তু যদি কুকুরের হাঁচি শোনা যায় তাহলে মনে করা হয় কোন দুর্ঘটনা বা বিপদ ঘটবে।আবার হাতি হাঁচলে নাকি রাজ্যলাভের সম্ভাবনা থাকে।
হাঁচি নিয়ে কুসংস্কার এর শেষ নেই,অনেক মানুষই কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে হাঁচি চাপার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু হাঁচি চাপলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে যায়।এই হাঁচির বেগ ঘন্টায় ১০০কিলোমিটারের মতো এবং হাঁচি ১০০০০০ জীবাণু বহন করে। আরেকটা মজার কথা হলো ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁচি দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়।চিকিৎসা বিজ্ঞানে হাঁচি একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।তাই হাঁচিকে কুসংস্কার বলে মনে করা ঠিক নয়।
হীরক মুখোপাধ্যায় (৭ ডিসেম্বর '১৯):- নিজের অক্জিলারি নার্স মিডওয়াইফ(আর)-এর চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের মুখাপেক্ষী থাকতে থাকতে অবশেষে এক সড়ক দুর্ঘটনায়… Read More
হীরক মুখোপাধ্যায় (৬ ডিসেম্বর '১৯):- "আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকে কখনোই জেনে বুঝে অবহেলা করা উচিত নয়," বললেন… Read More
হীরক মুখোপাধ্যায় (৬ ডিসেম্বর '১৯):- চা শিল্পকে বাঁচাতে বাজারে নতুন কীটনাশক আনল 'গোদরেজ এগ্রোভেট লিমিটেড'। এই মুহুর্তে বিশ্বের মোট ব্যবহার্য… Read More
হীরক মুখোপাধ্যায় (৬ ডিসেম্বর '১৯):- এই বছর 'এনআইটি' (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) ও 'আইআইটি' (ইণ্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি)-তে হওয়া ক্যাম্পাস… Read More
স্নেহাশিস মুখার্জি, নদীয়া(৪ ডিসেম্বর) : দীর্ঘদিন ছুটি না মেলায় মানসিক অবসাদে ছত্রিশ গড়ের নারায়ণপুর জেলার বস্তারে নিজের ৫ সহকর্মীকে গুলি… Read More
সঞ্চিতা সিনহা (৪ ডিসেম্বর ): বাঁকুড়া জেলার পৌরসভার চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে জানান বিগত পাঁচ বছরে তৃণমূল নেত্রী… Read More