হীরক মুখোপাধ্যায় (২ ডিসেম্বর ‘১৯):- পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কোলকাতা। এই কোলকাতার বুকে ‘কোলকাতা পৌরনিগম’ পরিচালিত যতগুলো শ্মশান আছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ‘কেওড়াতলা মহাশ্মশান’।
শবদাহের জন্য এই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রয়েছে ৮ টা বৈদ্যুতিন চুল্লি ও ২ টো সাধারণ (কাঠের) চুল্লি।
শহরের বুকে শবদাহ জনিত বিষাক্ত গ্যাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেইজন্য ৮ টা বৈদ্যুতিন চুল্লির মধ্যে ৪ টা বৈদ্যুতিন চুল্লির জন্য ১কোটি টাকা খরচ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র ও চিমনি লাগানো হয়েছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বর্তমানে এখানকার সবকটা চিমনিই বিকল হয়ে পড়ায় ‘কেওড়াতলা মহাশ্মশান’ সংলগ্ন চেতলা রোডের বহুতল ভবনগুলো বিষাক্ত গ্যাস ও শবদেহের উড়ো ছাইয়ে ভরে উঠছে।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে চেতলা রোড-এর এক বহুতল ভবনের এক বাসিন্দা জানান, “বেশ কিছুদিন ধরে ‘কেওড়াতলা মহাশ্মশান’-এর দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র ও চিমনি বিকল থাকায় শবদাহ শুরু হওয়া মাত্র চিমনি দিয়ে শবদেহের ছাই ও বিষাক্ত গ্যাস গলগল করে বেরিয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে আসছে। এই অভাবনীয় অবস্থা থেকে বাঁচতে সারাদিনই জানলা দরজা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।”
যদিও চেতলা রোড-এ অবস্থিত আর এক বহুতলের বাসিন্দার অভিযোগ, “স্থানীয় পৌরপ্রতিনিধি সব জেনেও কিছু না করায় ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছিলাম, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই রাজ্যে ‘দিদিকে বলো’-তে অভিযোগ জানালেও তা কাজে আসেনা।”
চেতলা রোড-এর স্থানীয় আবাসিকদের অভিযোগের বিষয়ে কোলকাতা পৌরনিগম-এর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক আধিকারিক বলেন, “কেউ ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করেছেন কিনা তা আমরা জানিনা, তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে একশো শতাংশ সঠিক তা মেনে নিচ্ছি।
এই মুহুর্তে প্রতিদিন ‘কেওড়াতলা মহাশ্মশান’-এ ১০০-র মতো দেহ সৎকার হচ্ছে।
শ্মশানে দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ও বিদ্যুত বিভাগের কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় বা তালমিল না থাকার জন্যই এই অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে। ”
কোলকাতা পৌরনিগম-এর স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক যখন যেনতেন প্রকারে সরে যেতে পারলে বাঁচেন, তখন কোলকাতার নামকরা পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, “শবদাহ হওয়ার সময় বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার, নাইট্রোজেন মিশবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাইড্রো কার্বন এবং কার্বন মনোক্সাইডও তৈরী হয় ফলতঃ তখন স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস নেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।”
শবদাহ জনিত বিষাক্ত গ্যাস হলেও নয় মেনে নেওয়া যেত, কিন্তু দরজা জানলা খুললেই শবের ছাই ঘরে প্রবেশ করায় চেতলা রোডের বহুতল ভবনের অনেক বাসিন্দাই এখন মনে মনে ভীত হয়ে তাদের ফ্ল্যাট অল্পদামে বিক্রি করে দিয়ে এলাকা ছাড়তে পারলে বাঁচেন, কিন্তু প্রশ্ন সব জেনে কে আর এই অঞ্চলের ফ্ল্যাট কিনবেন!
হীরক মুখোপাধ্যায় (৭ ডিসেম্বর '১৯):- নিজের অক্জিলারি নার্স মিডওয়াইফ(আর)-এর চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের মুখাপেক্ষী থাকতে থাকতে অবশেষে এক সড়ক দুর্ঘটনায়… Read More
হীরক মুখোপাধ্যায় (৬ ডিসেম্বর '১৯):- "আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকে কখনোই জেনে বুঝে অবহেলা করা উচিত নয়," বললেন… Read More
হীরক মুখোপাধ্যায় (৬ ডিসেম্বর '১৯):- চা শিল্পকে বাঁচাতে বাজারে নতুন কীটনাশক আনল 'গোদরেজ এগ্রোভেট লিমিটেড'। এই মুহুর্তে বিশ্বের মোট ব্যবহার্য… Read More
হীরক মুখোপাধ্যায় (৬ ডিসেম্বর '১৯):- এই বছর 'এনআইটি' (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) ও 'আইআইটি' (ইণ্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি)-তে হওয়া ক্যাম্পাস… Read More
স্নেহাশিস মুখার্জি, নদীয়া(৪ ডিসেম্বর) : দীর্ঘদিন ছুটি না মেলায় মানসিক অবসাদে ছত্রিশ গড়ের নারায়ণপুর জেলার বস্তারে নিজের ৫ সহকর্মীকে গুলি… Read More
সঞ্চিতা সিনহা (৪ ডিসেম্বর ): বাঁকুড়া জেলার পৌরসভার চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে জানান বিগত পাঁচ বছরে তৃণমূল নেত্রী… Read More